নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার ঘোষনগর ও নজিপুর ইউনিয়নে তিনটি ভোটকেন্দ্রে ভোট গণনা নিয়ে পুলিশের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, অস্ত্র ছিনতাই ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় পত্নীতলা থানায় মামলা হয়েছে। এতে ১১৩ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আড়াই হাজার ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। ফলে পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে পুরো গ্রাম। গত ৬ জানুয়ারি এই মামলার প্রধান আসামি ঘোষনগর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) স্বতন্ত্র (আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী) চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ফারজানা পারভীনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এখন পর্যন্ত ফারজানা পারভীনের স্বামী মতিউর রহমানসহ মোট ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কমলাবাড় গ্রামের বাসিন্দা মাহমুদা জানান,এসব ঘটনায় গ্রামের আড়াই হাজার মানুষের নামে মামলা করেছে পুলিশ। ফলে গ্রামে আর কোনো পুরুষ মানুষ নেই। শুধু মসজিদের ইমাম, মোয়াজ্জিন ছাড়া গ্রামের সব পুরুষ আত্মগোপনে গেছেন।
এ অবস্থায় গ্রামের শুধু মেয়ে মানুষের বসবাস। বর্তমানে আমরা সবাই আতঙ্কে মধ্যে আছি। সন্ধ্যা লাগার আগেই নারীরা যে যার মত ঘরে ঢুকে যান। একই গ্রামের লায়লী বেগম জানান, এই গ্রামে ২ হাজারের বেশি মানুষের বসবাস। পুরুষ শূন্য হওয়ার পাশাপাশি বন্ধ রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ঘটনার পর থেকে কমলাবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আর খোলা হয়নি। একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাল্টে গেছে পুরো গ্রামের চিত্র।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।